বাসর রাত, তাই চিৎকার করেনি ফুলি।র’ক্তক্ষরণেরই মৃ”ত্যু।

সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিট। ডিউটি ডাক্তার মাত্র বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুম ঘুম চোখে বিছানায় শুয়েছেন। হঠাৎ ইমারজেন্সি থেকে একটি কল আসে। চোখের পাতায় ঘুমের চাপ সত্ত্বেও তিনি দ্রুত ইমারজেন্সিতে যান। সেখানে পৌঁছে এক মুহূর্তের জন্য তিনি স্তব্ধ হয়ে যান। এক মহিলা রোগীকে আনা হয়েছে, যার শরীরের চাদর রক্তে ভিজে গেছে। মুখের রঙ ফ্যাকাসে, প্রাণহীন। কাপড় দেখে অনুমান করা যায়, তিনি নতুন বিবাহিত।রোগীর নাম ফুলি (ছদ্মনাম)। ডাক্তার তাঁর অবস্থা বুঝতে হিষ্ট্রি নিতে এগিয়ে আসেন এবং জানতে চান, কী হয়েছে? রোগীর সাথে সদ্য বিবাহিত স্বামী, জা এবং আরও ৪/৫ জন আত্মীয় এসেছেন।ডাক্তারের প্রশ্ন শুনেই রোগীর স্বামী চুপচাপ চোরের মতো রুম থেকে বেরিয়ে গেল। রোগীর সঙ্গে আসা এক মহিলা ক্ষুব্ধ স্বরে বলল, "ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না নাকি? সব কিছু কি বলতেই হবে!" ওদের গ্রামে গাছের মাথায় বাঁধা মাইকে একের পর এক বিয়ের গান বাজছে। বিয়েবাড়ির পরিবেশে সবাই ব্যস্ত। বরপক্ষের লোকজন নিজেদের অভিজাত ও ব্যক্তিত্বশালী প্রমাণের চেষ্টা করছে। অনেক দর কষাকষির পর, কনেপক্ষ থেকে যৌতুক হিসেবে যা দেওয়া হয়েছে, তা নেহাত কম নয়। কিন্তু সমস্যা হলো, কনের বয়স কম। ফুলি ...